হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সতর্ক করেছে যে, ইসরায়েলি দখলদার সরকারের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ এবং গাজা উপত্যকার অবকাঠামো ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়ের ফলে ফিলিস্তিনি শিশু, কিশোর ও তরুণদের একটি পুরো প্রজন্ম এখন ধ্বংস ও বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার জন্য ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক এডওয়ার্ড বেগবেডার গাজা উপত্যকায় এক “পুরো প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা” ব্যক্ত করে বলেন, দুই বছর ধরে শিশুরা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
গাজা সফর শেষে তিনি জানান, এটি টানা তৃতীয় শিক্ষাবর্ষ, যখন গাজায় শিশু ও কিশোরদের জন্য কোনো স্কুল খোলা নেই। যদি আমরা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব শিশুদের জন্য বাস্তব পরিবর্তন শুরু না করি, তবে আমরা চতুর্থ বছরের দোরগোড়ায় পা রাখব-তখন আমরা এমন এক প্রজন্মের কথা বলব, যাদের হারিয়ে ফেলা হবে।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, যুদ্ধবিরতির পর ইউনিসেফ ও তাদের শিক্ষা সহযোগী সংস্থাগুলো সীমিত আকারে কাজ শুরু করতে পেরেছে, কিন্তু যেসব শিশুর স্কুলে থাকার কথা ছিল, তাদের মাত্র এক-ষষ্ঠাংশ অস্থায়ী শিক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছে।
এডওয়ার্ড বেগবেডার বলেন, এটি শুধু শিক্ষা নয়, শেখার টিকে থাকার প্রশ্ন। কারণ গাজার ৮৫ শতাংশ স্কুল হয় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, নয়তো ব্যবহারের অযোগ্য। বাকি বেশিরভাগ স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে গৃহহারা মানুষরা আশ্রয় নিচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অন্তত আমাদের এখন ন্যূনতম প্রয়োজন-খাতা, বই এবং শিক্ষাসামগ্রী-যাতে এই শিশুরা শেখার সুযোগ না হারায়।
আপনার কমেন্ট